-হ্যালো শাহেদ ,তুমি কোথায় ? ফোন ধরতেছো না কেন?
-আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম ।
-মানে! এখন কয়টা বাজে দেখছ?
আমাদের ১১ টায় আমাদের দেখা করার কথা ?
এখন বাজে ১২টা । আমি ১ ঘণ্টা ধরে একা একা বসে আছি । আর তুমি এখন মাত্র ঘুম থেকে উঠছ !
-আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি ।
-তুমি কি আমার সাথে ফাজলামি করতেছ ?তোমার বাসা থেকে আসতে কমপক্ষ বিশ মিনিট লাগে ।
- না না, আমি তোমার জন্য উড়ে উড়ে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসব । রাগ করো না জান ।
-ঢং রাখো তো ! প্রত্যেকটা বার তোমার সাথে দেখা করার সময়
আমাকে অনেকক্ষণ একা একা বসে থাকতে হয় । তুমি কি কোনদিনই ঠিক হবা না?
-এই শেষ । এরপর থেকে আর এক মিনিটও দেরী করব না । এইবারের মতো মাফ করে দাও ।
-আচ্ছা , ঠিক আছে । তুমি তাড়াতাড়ি আসো । বাই।
ফোন রেখে দিল রিয়া ।আজকে তাদের রিলেশনের প্রথম বর্ষপূর্তি । শাহেদের জন্য আনা গিফটের প্যাকেট হাতে নিয়ে লেকের পাড়ের
বেঞ্চিতে বসে আছে রিয়া মনে মনে ভাবছে আজকে শাহেদ আসলে তাকে ইচ্ছামতো ঝারবে।
যদিও রিয়া কখনই সেটা পারেনি । শাহেদকে দেখলেই তার রাগ পানি হয়ে যায় ।
ছেলেটাকে যে কেন এত বেশী ভালবাসে সেটা সে জানে না । ৩০ মিনিট পর আবার শাহেদের
নাম্বারে ডায়াল করলো রিয়া । কিন্তু শাহেদের ফোন বন্ধ পেল রিয়া । পরবর্তী ১ ঘণ্টা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বিরতিহীনভাবে শাহেদের
নাম্বারে ডায়াল করেও ফোন খোলা পেল না রিয়া । কষ্টে অভিমানে রিয়ার চোখে পানি চলে এল ।হাতের গিফটের
প্যাকেটটা লেকের পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয় বাসায় এসে কাউকে কিছু না বলে নিজের
রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিল । বিছানায় শুয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগল রিয়া । ব্যাগ
থেকে মোবাইল বের করে সুইচড অফ করে টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিল ।ড্রয়ারে
মেডিসিনের বাক্সটা চোখে পড়তে সেট । ভিতর থেকে ঘুমের ট্যাবলেটটা বের করে ৪
টা ট্যাবলেট খেল । ৩০ মিনিটের মাঝেই রিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো ।
রাত ৩ তার দিকে হটাৎ করে রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল । বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে
জানালা দিয়ে বাইরে তা কে যেন বৃষ্টির মাঝে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
ভালো করে খেয়াল করে দেখল শাহেদ দাঁড়িয়ে আছে । হাতের প্ল্যাকার্ডে বড় করে “SORRY”লেখা । ওকে এই অবস্থায়
দেখেই তার সব রাগ পানি হয়ে গেল । তাড়াতাড়ি ড্রয়ার থেকে মোবাইল বের করে সেটা অন করলো । অন করার
সাথে সাথে একসঙ্গে প্রায় ১০ টার মতো মেসেজ আসল ।প্রথম মেসেজটা পাঠিয়েছে তা
বেস্ট ফ্রেন্ড সীমা ।মেসেজটা পড়ে সে পাথর হয়ে গেল । মুখ থেকে অস্ফুট একটা শব্দ বের হল ।
সে বিশ্বাস করতে পারল না। আবার বাইরে তাকাল ।
দেখল যেখানে শাহেদ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে কেউ নেই । আবার মেসেজটা পড়ল, “শাহেদ আজকে দুপুর ১২.৩০ এর দিকে রিক্সা এক্সিডেন্টে.......,,
-আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম ।
-মানে! এখন কয়টা বাজে দেখছ?
এখন বাজে ১২টা । আমি ১ ঘণ্টা ধরে একা একা বসে আছি । আর তুমি এখন মাত্র ঘুম থেকে উঠছ !
-আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি ।
-তুমি কি আমার সাথে ফাজলামি করতেছ ?তোমার বাসা থেকে আসতে কমপক্ষ বিশ মিনিট লাগে ।
- না না, আমি তোমার জন্য উড়ে উড়ে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসব । রাগ করো না জান ।
-ঢং রাখো তো ! প্রত্যেকটা বার তোমার সাথে দেখা করার সময়
আমাকে অনেকক্ষণ একা একা বসে থাকতে হয় । তুমি কি কোনদিনই ঠিক হবা না?
-এই শেষ । এরপর থেকে আর এক মিনিটও দেরী করব না । এইবারের মতো মাফ করে দাও ।
-আচ্ছা , ঠিক আছে । তুমি তাড়াতাড়ি আসো । বাই।
ফোন রেখে দিল রিয়া ।আজকে তাদের রিলেশনের প্রথম বর্ষপূর্তি । শাহেদের জন্য আনা গিফটের প্যাকেট হাতে নিয়ে লেকের পাড়ের
বেঞ্চিতে বসে আছে রিয়া মনে মনে ভাবছে আজকে শাহেদ আসলে তাকে ইচ্ছামতো ঝারবে।
যদিও রিয়া কখনই সেটা পারেনি । শাহেদকে দেখলেই তার রাগ পানি হয়ে যায় ।
ছেলেটাকে যে কেন এত বেশী ভালবাসে সেটা সে জানে না । ৩০ মিনিট পর আবার শাহেদের
নাম্বারে ডায়াল করলো রিয়া । কিন্তু শাহেদের ফোন বন্ধ পেল রিয়া । পরবর্তী ১ ঘণ্টা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বিরতিহীনভাবে শাহেদের
নাম্বারে ডায়াল করেও ফোন খোলা পেল না রিয়া । কষ্টে অভিমানে রিয়ার চোখে পানি চলে এল ।হাতের গিফটের
প্যাকেটটা লেকের পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয় বাসায় এসে কাউকে কিছু না বলে নিজের
রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিল । বিছানায় শুয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগল রিয়া । ব্যাগ
থেকে মোবাইল বের করে সুইচড অফ করে টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিল ।ড্রয়ারে
মেডিসিনের বাক্সটা চোখে পড়তে সেট । ভিতর থেকে ঘুমের ট্যাবলেটটা বের করে ৪
টা ট্যাবলেট খেল । ৩০ মিনিটের মাঝেই রিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো ।
রাত ৩ তার দিকে হটাৎ করে রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল । বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে
জানালা দিয়ে বাইরে তা কে যেন বৃষ্টির মাঝে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
ভালো করে খেয়াল করে দেখল শাহেদ দাঁড়িয়ে আছে । হাতের প্ল্যাকার্ডে বড় করে “SORRY”লেখা । ওকে এই অবস্থায়
দেখেই তার সব রাগ পানি হয়ে গেল । তাড়াতাড়ি ড্রয়ার থেকে মোবাইল বের করে সেটা অন করলো । অন করার
সাথে সাথে একসঙ্গে প্রায় ১০ টার মতো মেসেজ আসল ।প্রথম মেসেজটা পাঠিয়েছে তা
বেস্ট ফ্রেন্ড সীমা ।মেসেজটা পড়ে সে পাথর হয়ে গেল । মুখ থেকে অস্ফুট একটা শব্দ বের হল ।
সে বিশ্বাস করতে পারল না। আবার বাইরে তাকাল ।
দেখল যেখানে শাহেদ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে কেউ নেই । আবার মেসেজটা পড়ল, “শাহেদ আজকে দুপুর ১২.৩০ এর দিকে রিক্সা এক্সিডেন্টে.......,,



0 Response to " “SORRY”"
Post a Comment