-তন্ময়, তোমার কাছে কি
ছাতা আছে?
=ছাতা কী হবে?
-ছাতা কী হবে মানে? বৃষ্টিতে ভিজবো নাকি?
=ভিজলে সমস্যা কী?
-না না, ভেজা যাবে না। সামনেই সেমিস্টার
ফাইনাল। জ্বর আসলে সর্বনাশ!
=ও আচ্ছা। তাহলে রিকশার হুড তুলে দিচ্ছি।
-আরে করো কি করো কি! হুড তোলা যাবে না।
সমস্যা আছে।
=আজব তো! কী সমস্যা?
-ক্যাম্পাসের আশেপাশে রিকশার হুড
তোলা যাবে না। অনেক চেনাজানা মানুষ আছে। সবাই খারাপ ভাববে।
=এত সমস্যা তোমার...
ব্যাগে ছাতা রাখো না কেন?
-জানি না।
অরিনের অভিমানটা তন্ময়ের উপর না।
অভিমানটা আসলে প্রকৃতির উপর। অরিন যেদিন ব্যাগে ছাতা রাখে না, ঠিক সেদিনই
বৃষ্টি নামে। একেবারে ঝুম বৃষ্টি। অরিনের
ধারনা, প্রকৃতির সাথে তার শত্রুতা আছে, গভীর শত্রুতা। অরিন মাঝে মাঝে এটাও ভাবে,'বৃষ্টি'নামের কোনো মেয়ে হয়তো তার সতীন হবে। ভবিষ্যত সংসারেও এই প্রকৃতি ঝামেলা বাধাবে।
-বৃষ্টি নামের কোনো মেয়েকে চিনো তুমি?
=চিনি তো। আমার ছোটবেলার ফ্রেন্ড।
আমাদের ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল ছিলো।
-এই ছেলে, আমি কি এত কিছু জিজ্ঞেস করছি? আগ বাড়ায়ে এত কিছু বলতেছো কেন? ঐ
মেয়ে কী লাগে তোমার???
=আহা কি আশ্চর্য। ছোটবেলার ফ্রেন্ড তাই
বললাম। রেগে যাচ্ছো কেন?
-ঐ মেয়ের সাথে আর জীবনেও কথা বলবা না,
জীবনেও না।
=হলো টা কি তোমার? হঠাৎ বৃষ্টির
কথা বললা কেন?
-জানি না। কিচ্ছু জানি না।
তন্ময় আর কিছু বললো না। কথা বাড়ালে অরিন আরো ক্ষেপে যেতে পারে। তবে তন্ময় জানে এই মূহুর্তে কী করা উচিত...
অরিনের বামহাতটা আলতো করে ধরলো তন্ময়। কিঞ্চিত রাগারাগির সময় এভাবে হাত ধরাটা অনেক কাজে আসে। স্পর্শে স্পর্শে অনেক কথা বলা হয়ে যায়।
বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া হাতের
স্পর্শে অভিমানি অরিনও শিরহিত হয়ে ওঠলো। কারন, মন অভিমান করে, কিন্তু শরীর কখনো অভিমান করে না। শরীর
জেগে থাকে সারাক্ষন... স্পর্শের আশায়।
তন্ময় আর অরিন দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। এই বৃষ্টির নাম বোধ্হয় ভালোবাসার বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে একসাথে ভিজলে ভালোবাসা বাড়ে। কেন বাড়ে কে জানে...
অরিন তন্ময়ের কাধে মাথা রাখলো।
ভেজা শরীরেও অদ্ভুত উষ্ণতা... অরিনের হঠাৎ করেই মনে হলো, প্রকৃতি খুব একটা খারাপ না। এই বৃষ্টিকে নিয়ে ঘর করতে তার
কোনো আপত্তি নেই...,
ভাল লাগলে like দিন , ধন্যবাদ ।
ছাতা আছে?
=ছাতা কী হবে?
-ছাতা কী হবে মানে? বৃষ্টিতে ভিজবো নাকি?
=ভিজলে সমস্যা কী?
-না না, ভেজা যাবে না। সামনেই সেমিস্টার
ফাইনাল। জ্বর আসলে সর্বনাশ!
=ও আচ্ছা। তাহলে রিকশার হুড তুলে দিচ্ছি।
-আরে করো কি করো কি! হুড তোলা যাবে না।
সমস্যা আছে।
=আজব তো! কী সমস্যা?
-ক্যাম্পাসের আশেপাশে রিকশার হুড
তোলা যাবে না। অনেক চেনাজানা মানুষ আছে। সবাই খারাপ ভাববে।
=এত সমস্যা তোমার...
ব্যাগে ছাতা রাখো না কেন?
-জানি না।
অরিনের অভিমানটা তন্ময়ের উপর না।
অভিমানটা আসলে প্রকৃতির উপর। অরিন যেদিন ব্যাগে ছাতা রাখে না, ঠিক সেদিনই
বৃষ্টি নামে। একেবারে ঝুম বৃষ্টি। অরিনের
ধারনা, প্রকৃতির সাথে তার শত্রুতা আছে, গভীর শত্রুতা। অরিন মাঝে মাঝে এটাও ভাবে,'বৃষ্টি'নামের কোনো মেয়ে হয়তো তার সতীন হবে। ভবিষ্যত সংসারেও এই প্রকৃতি ঝামেলা বাধাবে।
-বৃষ্টি নামের কোনো মেয়েকে চিনো তুমি?
=চিনি তো। আমার ছোটবেলার ফ্রেন্ড।
আমাদের ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল ছিলো।
-এই ছেলে, আমি কি এত কিছু জিজ্ঞেস করছি? আগ বাড়ায়ে এত কিছু বলতেছো কেন? ঐ
মেয়ে কী লাগে তোমার???
=আহা কি আশ্চর্য। ছোটবেলার ফ্রেন্ড তাই
বললাম। রেগে যাচ্ছো কেন?
-ঐ মেয়ের সাথে আর জীবনেও কথা বলবা না,
জীবনেও না।
=হলো টা কি তোমার? হঠাৎ বৃষ্টির
কথা বললা কেন?
-জানি না। কিচ্ছু জানি না।
তন্ময় আর কিছু বললো না। কথা বাড়ালে অরিন আরো ক্ষেপে যেতে পারে। তবে তন্ময় জানে এই মূহুর্তে কী করা উচিত...
অরিনের বামহাতটা আলতো করে ধরলো তন্ময়। কিঞ্চিত রাগারাগির সময় এভাবে হাত ধরাটা অনেক কাজে আসে। স্পর্শে স্পর্শে অনেক কথা বলা হয়ে যায়।
বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া হাতের
স্পর্শে অভিমানি অরিনও শিরহিত হয়ে ওঠলো। কারন, মন অভিমান করে, কিন্তু শরীর কখনো অভিমান করে না। শরীর
জেগে থাকে সারাক্ষন... স্পর্শের আশায়।
তন্ময় আর অরিন দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। এই বৃষ্টির নাম বোধ্হয় ভালোবাসার বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে একসাথে ভিজলে ভালোবাসা বাড়ে। কেন বাড়ে কে জানে...
অরিন তন্ময়ের কাধে মাথা রাখলো।
ভেজা শরীরেও অদ্ভুত উষ্ণতা... অরিনের হঠাৎ করেই মনে হলো, প্রকৃতি খুব একটা খারাপ না। এই বৃষ্টিকে নিয়ে ঘর করতে তার
কোনো আপত্তি নেই...,
ভাল লাগলে like দিন , ধন্যবাদ ।
.jpg)


0 Response to " ছাতা আছে?"
Post a Comment